ছোটবেলা থেকেই গল্প শুনতে, বুনতে আর বলতে ভালো লাগে। নানান স্বাদের গল্প বা গল্পের মধ্যে ভিন্ন স্বাদের মিশ্রনে অনুভুতিগুলোকে অনুভূত করে তুলতে ভালোলাগে। এই ভাবে এক এক করে বহু গল্প জন্ম নিয়েছে বা রুপদান পেয়েছে। এই সমস্ত গল্পগুলোতে কল্পনা সমূহদের বাস্তবায়িত করার উপলক্ষে যুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে র্যেছ আনন্দ, দুঃখ, উষ্ণতা, শীতলতা, ভালোবাসা, হিংসা, ঘৃণা, প্রতিশোধ এবং শান্তি প্রাপ্তি।
এই গল্পগুলোর মধ্যে কিছু গল্পের চিত্রানাট্য হয়ে রয়েছে চলচিত্র এবং ওয়েব সিরিজের উদ্দেশ্যে। আর কিছু গল্প শ্রুতিনাট্য হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে বা পাচ্ছে।
জীবনের শুরুর দিকে আমার স্ত্রী তখন অবশ্য প্রেমিকা, তার দেওয়া একটা উপহার একটি বই যা আরেকজন স্ত্রীর কলমে প্রাকাশিত আমাদের সকলের ভীষণ প্রিয় মানুষ সনামধন্য চলচিত্র পরিচালক শ্রী সত্যজিৎ রায়ের কর্ম প্রক্রিয়ার প্রতিফলন। এই বইটি আমার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমার স্ত্রীর দেওয়া এই উপহারটি এক কথায় অনবদ্য এবং অপরিহার্য। এই বইটি পড়ার পর আমার মধ্যে বেশ কিছু ধারনা স্পষ্ট হয়। কোন গল্পকে আধুনিক চিত্রনাট্যর রূপ দিতে গেলে আর ছবির বাজেটকে আটোসাটো রাখতে হলে ভালো সম্পাদনার বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এতে শুটিং এও সময় কম লাগে আর সঠিকতার সাথে পরিপূর্ণতাও পাওয়া যায়। এই ধারনা স্পষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই আমি চলচিত্র সম্পাদনাতে নিজেকে নিমজ্জিত করি। শিখতে শুরু করি সাথে সাথে প্রয়োগ করতে শুরু করি। শুরুতে ছোট ছোট ভাবে তারপর নানান তথ্যচিত্রে এবং এর পরে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি আন্তর্জাতিক তথ্যচিত্রে ২০০৪ সালে। তবে জীবনের প্রথম দুটি পূর্ণ চলচিত্রের সম্পাদনা করার পর মুক্তির আশায় বেশ কিছু সময় কেতে যাওয়ায় খানিকটা আশাভঙ্গ হয়ে রাস্তাটা একটু পরিবর্তন করি। যদিও সম্পাদনার প্রতি ঝোঁক এবং ভালোবাসা কক্ষনই উপেক্ষিত হয়নি। ২০১৫ সালে এক বিশেষ কারনে পুনরায় আমার স্ত্রীর অনুপ্রেরনায় সম্পাদনার কাজ শুরু করি এবং আজও করছি আর আজীবন করে যাওয়ার চেষ্টা করব। আপনারাও সাথে থাকবেন।
ভালো বিজ্ঞাপনের ছবি সেটাই যেটা ক্রেতার মনে দাগ কাটে এবং স্মৃতিতে বহুদিন থাকে। তার জন্য প্রয়োজন দারুন উপাদান জেম্ন কল্পনা বা ধারণা অথবা অভিপ্রায় এবং যথাযথ প্রয়োগ। আমি এবং আমাদের টিম সর্বদা যুক্ত থাকি ভিন্ন ভিন্ন উপাদানকে নাড়াচাড়া করে মূল বিষয়বস্তুকে বেশ চটকদার এবং আবেগপূর্ণ করে তুলতে এবং তার মধ্যে সময়কে জীবন্ত করে রাখতে।
নিজের সৃজনশীলতার জন্য নিজের একটা স্থান দরকার। যার সব কিছুর সাথে নিজে ওতপ্রত ভাবে জড়িত। জেতা নিজের কাছে একটা মন্দির সমতুল্য। যেখানে স্বস্তি আছে যেখানে উদ্দম আছে যেখানে সৃষ্টি আছে সেখানেই শান্তি আছে। আমিও এই সমস্ত কিছুকে একত্রে পেতে অনেকটা সময়, অনেকটা পরিশ্রম এবং বহু উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ধীরে ধীরে আমার এই মন্দিরকে গড়ে তুলেছি।
ঘরে থাকুক প্রকৃতি আর প্রকৃতি হোক ঘর অন্তরে থাকুক স্বাধীন দেওয়াল
আর অন্দরে উন্মুক্ত খেয়ালের স্বর